সংবাদ শিরোনামঃ
শ্যামনগরে বহুল আলোচিত এম আরএ ক্লিনিক সরকারি আদেশে বন্ধ ঘোষনা

শ্যামনগরে বহুল আলোচিত এম আরএ ক্লিনিক সরকারি আদেশে বন্ধ ঘোষনা

নিজস্ব  প্রতিনিধিঃ

শ্যামনগর উপজেলার বহুল আলোচিত এমআরএ ক্লিনিক সরকারি আদেশে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানাযায, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট প্রভাষক ডাঃ আনিসুর রহমানের অনিয়ম দুর্নীতি ও অত্যাচার সইতে না পেরে শ্যামনগরের বহুল আলোচিত এমআরএ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর ২৬-০৪-২৩ তারিখে লিখিত আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন ক্লিনিক মালিকপক্ষ। তারই পরিপেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ১৭/০৫/২০২৩ তারিখে ক্লিনিকটির লাইসেন্স বাতিল পূর্বক ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করে। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি মোতাবেক এবং সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন এর নির্দেশনায় আমি সরজমিনে গিয়ে শয়ামনগর এম আর এ ক্লিনিক এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। উল্যেখ এম আর এ ক্লিনিকে অপারেশন করতে আসার সুবাদে ডাঃ আনিসুর রহমানের প্রস্তাবেই তার মেয়ের নামে একটি শেয়ার দেন ক্লিনিক মালিকপক্ষ। তার কিছুদিন পর থেকেই ডাঃ আনিসুরের আগ্রাসি মনভাব এবং অঢেল টাকার বিনিময়ে পুরো ক্লিনিকটি নিজে দখলে নেয়ার পায়তারা করেন। কোন ডাক্তারকে অপারেশন করতে দেন না, নিজেই অপারেশন করেন। কোন এ্যানেস্থেশিয়া ডাক্তার ছাড়াই, নিজেই ক্যাটামিন ইনজেকশন ও স্পাইনাল দেন, যে কারনে বহু রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। বারবার রোগি মারা যাওয়ার কারণে ক্লিনিকের নাম হয় মৃত্যুপুরী। প্রতিনিয়ত এভাবে রোগী মারা যাওয়ার কারনে প্রায়শই বিভিন্ন গনমাধ্যমের শিরোনাম হলেও এতদিন ডাঃ আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। ক্লিনিকটিতে কোন ডিপ্লোমা নার্স নাই, নাই কোন এমবিবিএস ডিউটি ডাক্তার। ডাঃ আনিসুর এর এসব অন্যায় ক্লিনিক মালিকপক্ষ মেনে না নেয়ায় একের পর এক তাদের নামে মিথ্যা হামলা-মামলা দিয়ে ক্লিনিক থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পায়তারা করে আসছিলো। ক্লিনিক মালিকপক্ষ এত কিছু সহ্য করতে না পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর ২৬-০৪-২৩ তারিখে ক্লিনিক বন্ধের আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করিলে ১৭-০৫-২০২৩ তারিখে ক্লিনিকটির লাইসেন্স বাতিল পূর্বক ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে মৃত্যুপুরী খ্যাত ক্লিনিকটি বন্ধ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল, ভুক্তভোগী এবং ক্লিনিক মালিক পক্ষগণ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড